কক্সবাজার প্রতিনিধি::
কক্সবাজার সৈকতের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী শিক্ষক সম্মেলন-২০১৬।
সম্মেলনে সারা দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ৩৫০ জন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
‘শিক্ষকদের মূল্যায়ন, তাদের অবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক স্লোগানে আয়োজিত এ সম্মেলনে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনা ও ডিজিটাল কনটেন্ট নির্মাণকারী সেরা শিক্ষকদের নিয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে।
গতকাল বেলা তিনটায় ‘পাবলিক পরীক্ষা: যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা’ সেমিনার দিয়েই কর্মসূচি শুরু হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ রবিউল কবির চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইসমত আরা মমতাজ, রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আফরোজা নাসরিন, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক খোরশেদ আলম তালুকদার, দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদ রায়হান ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল ইকবাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এটুআইয়ের ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
বক্তারা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, পেশাগত উন্নয়নে শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করে ডিজিটাল আধেয় ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহারে উৎসাহী করে তোলা, সেরা ও প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকদের একত্র করে একটি সহযোগিতামূলক মঞ্চ গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতের তাগিদ দেন।
এর আগে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিন দিনের এ শিক্ষক সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন এটুআইর জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা। তিনি বলেন, শিক্ষা এখন বিনিয়োগ। মূল জনশক্তির ৬৫ ভাগ তরুণ প্রজন্ম। আগামী শতকের উপযোগী করে তুলতে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত করতে পারলেই শিক্ষার গুরুত্ব বাড়বে। তাই দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজারে এই শিক্ষক সম্মেলন। তিনি আরও বলেন, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এর অন্যতম হলো মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ (শিক্ষক বাতায়ন) অন্যতম। ইতিমধ্যে সারা দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৩০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম শুরু হচ্ছে।
এ সম্মেলনে ৭৭ জনকে ‘সপ্তাহের সেরা শিক্ষক’ সম্মাননা এবং ২০১৪ ও ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ‘মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতায়’ সেরা কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে ৩৫ জন শিক্ষককে দেওয়া হচ্ছে ‘সেরা কনটেন্ট নির্মাতা’র পুরস্কার।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, এটুআই ই-লার্নিং বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, শিক্ষার দিক থেকে কক্সবাজার পশ্চাৎপদ জেলা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও অন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজ বুধবার সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’-এর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। এতে সাত শতাধিক শিক্ষক অংশ নেবেন। বেলা ১১টায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে শুরু হবে শিক্ষক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা, শিক্ষা ভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার মত বা সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা ...
পাঠকের মতামত